মোবাইল ফোন বর্তমান সময়ে সবথেকে আলোচিত আবিষ্কার হিসেবেই সবার নিকট সুপরিচিত। বিশেষ করে এই সময়ে আমরা মোবাইল ফোন বা বাংলায় মুঠোফোন ছাড়া এক মুহূর্তও অতিবাহিত করতে পারি না। হালের ফ্যাশনের অন্যতম বস্তু এই মোবাইল। তবে মোবাইল ফোন আবিষ্কারের রয়েছে বেশ সুন্দর এক ইতিহাস। সে সম্পর্কে অন্য একদিন আলোচনা করা যাবে।
একটা বিষয় জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরি যে মোবাইল ফোন মানুষের কাছে পৌছানোর আগে সেলুলার ফোন অধিক জনপ্রিয় ছিল। তাহলে কেন আমরা সেলুলার ফোন রেখে মোবাইল ফোনের দিকে অগ্রসর হলাম? অর্থাৎ মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত কি কি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে বা হচ্ছে যার জন্যে আমরা সেলুলার ফোন বাদ দিয়ে মোবাইল ফোনের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছি?
আজকের প্রবন্ধ মূলত মোবাইল এবং সেলুলার ফোন নিয়েই আলোচনা। তাহলে গভীর মনযোগ দিয়ে শুরু করা দেই...
মূল আলোচনা শুরুর আগে আসুন কিছু ব্যাসিক ধারণা পরিষ্কার করে নেই।
মোবাইল (ইংরেজিতে MOBILE) যার পূর্ণরূপ Modified Operation Byte Integration Limited Energy। আমরা মোবাইল ফোন বলতে খুব সহজে বলতে পারি এমন একটি ফোন যা কোনো তারের সাথে সংযুক্ত নয়(wireless)। এটি স্যাটেলাইট ফোন, ওয়াই-ফাই ফোন এবং সেল ফোনকেও কভার করে। পরেরটি এখনও বিশ্বের অনেক অংশে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই ফোনগুলো একে অন্যের সাথে রেডিও তরঙ্গ বা স্যাটেলাইট ট্রান্সমিশনের মাধ্যমে নেটওয়ার্ক তৈরি করে যোগাযোগ স্থাপন করে।
তাহলে সেলফোন বা সেলুলার ফোন কি? সেলফোন একধরনের ফোন যা মূলত রেডিও সেলের মধ্যে কাজ করে। তাহলে রেডিও সেল কি? রেডিও সেল হচ্ছে মূলত রেডিও ওয়েব কাভারেজ এলাকা। এইধরনের ফোনগুলো অবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ রক্ষা করে একটা সেল থেকে অন্য সেলে সংযুক্ত থাকে।
সুতরাং আমরা বলতে পারি মোবাইল ফোন আসলে সেলফোন বা সেলুলার ফোনের একটি উন্নত প্রযুক্তি। কেননা সেলুলার ফোনে আমরা কেবল একটা ফোন থেকে অন্য আরেকটি ফোনের মধ্যে অবিচ্ছিন্ন যোগাযোগই রক্ষা করতে পারতাম। কিন্তু মোবাইল ফোন বা মুঠোফোন শুধু এই কাজটিই করে না। সেলফোনের উন্নত এই সংস্করণে রয়েছে বেশ কিছু অতিরিক্ত ফিচার। যেমনঃ
- বিভিন্ন সেন্সর। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় অ্যাকসিলরোমিটার(accelerometer), ই-কম্পাস আরও অনেক কিছু।
- শুধুমাত্র একে অন্যকে কল করা আর বার্তা পাঠানোর বাইরেও আরও অনেক কাজ করা যায় যেমন গান শোনা, ভিডিও দেখা, ছবি তোলা, ভিডিও করা ইত্যাদি।
- চাইলে মোবাইল ফোন গুলোতে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের কাজ সমাধান করতে পারি। এখন কোনো হিসেব করতে খুব কমই আমরা ক্যালকুলেটর ব্যবহার করি।
No comments:
Post a Comment