Science Voice is a personal blog site, I will discuss different topics. The name of the site 'SciVoice' came from Science voice mainly. Readers will get informative blogs from this site, and let's hope for the best.

Full width home advertisement

Technology

Science

Post Page Advertisement [Top]

মোবাইল, আধুনিক যুগে মানুষের অন্যতম আবিষ্কার এই যন্ত্রটি। মোবাইল ফোন আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে মানুষ দূরত্বকে করেছে হাতের মুঠোয়, চাইলেই পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের যেকারও সাথে মুহূর্তে যোগাযোগ স্থাপন করার জন্যে অনন্য মোবাইল ফোন। যদিও আজকের আলোচনা মূলত মোবাইল আবিষ্কার নিয়ে নয়। বরং আমরা আজকে মোবাইল ডিসপ্লে'র বিবর্তন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

শুরুর দিকে মোবাইলের ডিসপ্লে কেবল দর্শনের জন্যে ব্যবহার করা করা হলেও বিভিন্ন পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বর্তমান সময়ে আমরা কেবল মোবাইল ডিসপ্লে বা স্ক্রিন শুধু দেখার জন্যে নয় বরং বিভিন্ন কাজ সম্পন্ন করতে ব্যবহার করে থাকি। নিশ্চয়ই এর জন্যে কোনো উদাহরন বা ব্যাখ্যার প্রয়োজন হবে না। তবে চলুন শুরু করি।

ডিসপ্লে কবে প্রথম তৈরি করা হলো?

বিখ্যাত নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী কার্ল ফার্ডিনান্ড ব্রাউন ১৮৯৭ সালে প্রথম ক্যাথোড রে টিউব আবিষ্কারের মাধ্যমে মানুষকে ডিসপ্লে'র সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। ক্যাথোড রে টিউব প্রকৃতপক্ষে এক রকম ভ্যাকুয়াম টিউব। ভ্যাকুয়াম টিউবের ফসফরাসেন্ট পৃষ্ঠে ইলেকট্রনিক বিম দ্বারা আঘাত করে কোনো কিছুর ইমেজ বা প্রতিচ্ছবি তৈরি করা হয়। এটাই ছিল ডিসপ্লে তৈরির প্রথম প্রচেষ্টা।

পরবর্তীতে ১৯০৭সালে এই প্রযুক্তি আরও উন্নত করে টেলিভিশন স্ক্রিন হিসেবে ব্যবহারে উদ্যোগ নেয়া হয় এবং ১৯২০সালে মতান্তরে ১৯২২সালে সর্বপ্রথম বাণিজ্যিকভাবে ডিসপ্লে বাজারজাত শুরু হয়।

কত রকমের মোবাইল ডিসপ্লে রয়েছে?

গত ২০বছরে মোবাইলের ব্যাপক উন্নতিসাধন হয়েছে। বর্তমান সময়ে মোবাইলকে মিনি কম্পিউটার হিসেবেও গণ্য করা হয়। ১৯৯২সালে সর্বপ্রথম স্মার্টফোন প্রযুক্তির সাথে বিশ্ববাসীকে পরিচয় করিয়ে দেয় আইবিএম। যদিও সে সময়ের মোবাইল ডিসপ্লেগুলো মূলত সাদা-কালো ছাড়া অন্য কোনো রঙ দেখানো যেতো না।

এই কাজটিই ২০০১সালে নোকিয়া করে। নোকিয়া মোনোক্রোনিক ডিসপ্লে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরে যা নীল রঙে পরিবর্তিত হতে পারতো। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন কোম্পানী আরও অনেক রঙ মোবাইল ডিসপ্লে'তে দেখানোর প্রযুক্তি আবিষ্কার করতে থাকে।

বর্তমান সময়ে মোট ছয় ধরনের ডিসপ্লে আমরা বাজারজাত হতে দেখি।

  1. টিএফটি এলসিডি (TFT LCD)
  2. আইপিএস এলসিডি (IPS-LCD)
  3. ক্যাপাসিটিভ টাচস্ক্রিন এলসিডি (Capacitive Touchscreen LCD)
  4. ওএলইডি (OLED)
  5. অ্যামোলেড (AMOLED)
  6. সুপার অ্যামোলেড (Super AMOLED)

টিএফটি এলসিডি (TFT LCD):

এলসিডি দিয়েই শুরু করি। এলসিডি বা LCD যার পূর্নরূপ Liquid Crystal Display আর টিএফটি বা TFT এর পূর্ণরূপ Thin Film Transistor। এইধরনের ডিসপ্লে সবথেকে সাধারন মানের। এগুলো যেমন ভালো ছবি দেয় তেমনি ভালো রেজুলেশনও পাওয়া যায়। 

আইপিএস এলসিডি (IPS-LCD):

এরপর আসি আইপিএস ডিসপ্লে'তে। আইপিএস বা IPS র পূর্ণরূপ In-plane switching। এধরনের ডিসপ্লে দামী ফোন যেগুলোর ডিসপ্লে বেশ প্রশস্ত এবং ব্যাটারি ব্যাকাপ বেশ ভালো। আইপিএস ডিসপ্লে আইফোনে ব্যবহার করা হয় অধিক, যদিও আইফোনে এইধরনের ডিসপ্লে'কে "রেটিনা" বা "সুপার রেটিনা" হিসেবে নামায়িত করা হয়েছে।

ক্যাপাসিটিভ টাচস্ক্রিন এলসিডি (Capacitive Touchscreen LCD):

ক্যাপাসিটিভ টাচস্ক্রিন মূলত ব্যবহারকারীর আঙুলের উপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ এর ব্যবহারকারী আঙুল দিয়ে যেভাবে নির্দেশনা দিবে, ডিসপ্লে'তে সেভাবেই কাজ হবে।

ওএলইডি (OLED):

ওএলইডি বা OLED র পূর্ণরূপ Organic Light-Emitting Diode এমন এক প্রযুক্তি যেখানে এলইডি ব্যবহার করা হয় যা কি না অর্গানিক মলিকিউলস দ্বারা তৈরি লাইট ব্যবহার করা হয়। মজার ব্যাপার হচ্ছে এই প্রযুক্তিতে ডিসপ্লে'র পিক্সেলগুলো দেখাতে ব্যাকলাইটের প্রয়োজন পড়ে না। আসলে পিক্সেলগুলো নিজেরাই বিভিন্ন আলো নিঃসরন করতে পারে।

অ্যামোলেড (AMOLED) এবং সুপার অ্যামোলেড (Super AMOLED):

Active-Matrix Organic Light-Emitting Diode যা সংক্ষপে AMOLED বা অ্যামোলেড হিসেবে পরিচিত। অ্যামোলেড কিংবা সুপার অ্যামোলেড উভয়ই মোবাইল বা টেলিভিশন স্ক্রিনে অধিক ব্যবহৃত হয়। অ্যামোলেড ডিসপ্লে টিএফটি ডিসপ্লে এবং ওএলইডি ডিসপ্লে'র সমন্বয়ে তৈরি করা হয় ফলে অনেক বেশি এনার্জি সঞ্চয় করা সম্ভব। সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে এর থেকেও অধিক শক্তি বা এনার্জি সঞ্চয় করতে পারে, সাথে সাথে ডিসপ্লে'র ব্যাকলাইটের শক্তি বাড়িয়ে দেয়। 

তাহলে আমার মোবাইলের ডিসপ্লে কেমন হওয়া জরুরি?

এই প্রশ্নের উত্তর মূলত আপনাকেই দিতে হবে। উপরের লেখা থেকে আপনি আপনার জন্যে সবথেকে মানানসই ডিসপ্লে'র মোবাইল ফোনটি বেছে নিতে পারবেন। তবে কয়েকটি কথা না বললেই নয়। এলসিডি ডিসপ্লে ঘরের বাইরের জন্যে খুবই ভালো। প্রাকৃতিক কালার কম্বিনেশন এবং শার্প ছবির জন্যে এলসিডি অত্যন্ত জনপ্রিয়।

অন্যদিকে ওএলইডি ডিসপ্লেযুক্ত মোবাইলের ব্যাটারি লাইফ বেশ ভালো, স্ক্রিন থেকে দ্রুত রেস্পন্স পেতে এধরনের ডিসপ্লে অনেক কার্যকরী। আর আপনি যদি খুবই ভালো মানে ছবি দেখতে চান তাহলে হাই রেজুলেশনের কোনো ডিসপ্লে হবে সবথেকে ভালো সিদ্ধান্ত।

আজকের ব্লগ তবে এপর্যন্তই। লেখা ভালো লাগলে অবশ্যই অন্য ব্লগগুলো পড়তে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।

No comments:

Post a Comment

Bottom Ad [Post Page]