বাংলাদেশে বিশেষ করে বর্ষাকালে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি বজ্রপাত হতে দেখা যায়। কিভাবে এই বজ্রপাত সৃষ্টি হয় আর কেন তা পৃথিবীতে আকাশ থেকে আছড়ে পড়ে তা নিয়ে পরবর্তীতে কোনো ব্লগে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
আজকের আলোচনার মূল বিষয় আমরা প্রায়শই বজ্রপাতে মৃত্যু হওয়া মানুষের দেহ মাটি চাপা দেয়ার পর চুরি হওয়ার ঘটনা শুনে থাকি। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে এখনও বজ্রপাতে মৃত মানুষকে কবরস্থ করার সেই কবরকে আত্মীয় স্বজন এমনকি এলাকাবাসী পালাক্রমে পাহারা দিতে দেখা যায়। এই ব্লগে আমরা এই চুরি হওয়ার কারন বিস্তারিত জানবো। পাঠক, এক মিনিট বিজ্ঞানের নতুন আরেকটি ব্লগে আপনাকে স্বাগতম।
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh5Q0ZvetFN55W62zIOJSxm-5TdLJpyRe5Z1Cn52MQMQ8bRuiwaBNMmVplh9-Btk6ZMqDoas3xirzE9IJYA1Vsfw3dxMBtC7baIk9y03zmElePMfAlXkKcxrt7YBuh-Q7aUQKGJqmygyZw/w640-h426/jenna-day-jMsJlnMMyZI-unsplash+%25281%2529.jpg)
বজ্রপাত মূলত শক্তিশালী বিদ্যুতশক্তি আর আমরা জানি বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে মানুষ কিভাবে মারা যায়। দুইটি ঘটনা মূলত তো একই। বিভিন্ন কারনে বজ্রপাতে মৃতব্যক্তির দেহ চুরি করে থাকে কিছু অসাধু মানুষ। এর মধ্যে প্রথম এবং প্রধান কারন হচ্ছে কালু জাদু বা ইংরেজিতে BLACK MAGIC। বজ্রপাতে মৃত ব্যক্তির শরীরের বিশেষ বিশেষ হাড় প্রেত সাধনার কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যদিও বর্তমান সময়ে এসব প্রেত সাধনা নিতান্তই মূর্খতা তবে যারা এসব বিষয়গুলো বিশ্বাস করে, তাদের মতে মৃত মানুষের কিছু হাড় দিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় সাধনা করলে অলৌকিক ক্ষমতা অর্জন করা যায়। তবে মৃত মানুষের চেয়ে বজ্রপাতে মৃত মানুষের হাড় নাকি অধিক কার্যকর। যদিও আধুনিক বিজ্ঞানে বিশ্বাসী কোনো মানুষ এরকম গর্হিত কাজে নিজেদের নিয়োজিত করবে না বলেই আশা করি।
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjAnD5o9EHu85Vyj9eLdoGhuwP5nzyX0hlFehs_Ae6APBQZ5R_N_Ddp_kNWYym2-aXtH2coOCNC6cPjUAqym7F2MEEJ9s5Pt7R9l2ibO4rL8suIYIbQNA0t57zithPsvKzqb6t0VRXMgCU/w640-h426/pexels-renato-danyi-1096925.jpg)
এছাড়াও অনেকে মনে করে, বজ্রপাতে মৃত মানুষের দেহ নাকি প্রাকৃতিক চুম্বকে পরিণত হয়। এ বিশ্বাসের যে কোনো ভিত্তি নেই তা কারওই অজানা নয়। প্রকৃতপক্ষে এসব মৃত লাশের তেমন কোনো বিশেষত্ব নেই। তাছাড়া অনেকে বিভিন্ন অঙ্গ বিক্রির জন্যেও চুরি করে থাকে, যদিও এটি যেকোনো লাশের ক্ষেত্রেই হতে পারে। আবার অনেকে কঙ্কালের জন্যেও চুরি করে।
বিভিন্ন দেশে ভূতের সাথে বিবাহের প্রচলন রয়েছে, এসব দেশের চাহিদা মেটাতে অনেক সময়ই লাশ চুরি হয়ে থাকে। বিকৃত যৌনাচারের জন্যেও অনেক সময় লাশ চুরির ঘটনা ঘটে। তবে এসব কারনগুলো যেকোনো মৃত ব্যক্তির লাশের ক্ষেত্রেই ঘটতে পারে।
তবে সবথেকে অদ্ভূত একটি তথ্য পাওয়া যায় যে, যেখানে বজ্রপাত হয়ে মানুষ মারা যায় সে স্থানের আশেপাশে খনিজ পদার্থ থাকার সম্ভাবনা থাকে। এসব খনিজ পদার্থ বিভিন্ন ঝাঁর ফুকের কাজে ব্যবহৃত হয়।
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgB_Q2Re0u6nCww-tf_fFMEqMLC10Sja-i0FBnKcGZHuUOgQQ7O5b4AXXlvTiPi3inXcbi6qMg9yalrriqEsDQwQhDusvwsxei_iaLwBsGo_ZwZH3dDi75WiNNuWFQ7MfpMOFAEKMkRr3M/w640-h406/jenna-day-jMsJlnMMyZI-unsplash+%25281%2529.jpg)
মূলত উপর্যুক্ত কারনগুলোর কারনেই বজ্রপাতে মৃতব্যক্তির লাশ চুরি হতে পারে। ফলে অনেক সময় সেই লাশকে ঘিরে আত্মীয় স্বজন এবং এলাকাবাসীর মধ্যে তৈরি হয় বিড়ম্বনা। ফলে অনেক সময় কবরকে কনক্রিটের ঢালাই দিতে দেখা যায়। যদিও বর্তমান সময়ে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। এখন মানুষ অনেক গোঁড়ামি থেকে বের হয়ে এসে আধুনিক বিজ্ঞান মতে জীবন অতিবাহিত করে। তাই বজ্রপাতে মৃতব্যক্তির লাশ চুরি যাওয়ার ঘটনা এখন তেমন দেখা যায় না।
পাঠক, আপনাদের কাছে কেমন লাগলো আজকের ব্লগটি? আশা করি ভালো। সাইটের অন্য ব্লগগুলো পড়ার আহ্বান জানিয়ে আজকের ব্লগ এখানেই শেষ করি। ধন্যবাদ।
No comments:
Post a Comment